করোনা প্রকোপের মধ্যেই সারাদেশে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ,আর এই ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে অনেকেই খাবারদাবার একেবারে বন্ধ করে দেন। আবার কেউ কেউ তখন শুকনো খাবার খাওয়াটা উচিত বলে মনে করেন। আর তরল নরম খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলেন এই ভেবে যে তাতে নাকি ডায়রিয়ার তীব্রতা আরো বেড়ে যাবে। আসলে এই ধারণার প্রায় পুরোটাই ঠিক নয়, বরং উল্টোটাই সত্য।
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার জন্য দায়ী কিছু জীবাণু রয়েছে। মূলত দূষিত পানি ও খাবারের সঙ্গে এসব জীবাণু পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে পেটের স্বাভাবিক নিয়মে গোলযোগ ঘটায়। এতে ঘন ঘন পায়খানা হয়। শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পানি, ইলেকট্রলাইট। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।
তাই ডায়রিয়া হলে প্রথমেই একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে শরীর যেন প্রয়োজনীয় পানি ও ইলেকট্রলাইট পায়। এ জন্য ডায়রিয়া রোগীকে শুকনো খাবারের পরিবর্তে জলীয় খাবার, শুধু পানি, ডাবের পানি, শরবত, বিশেষ করে ওরাল স্যালাইন পানের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।
শুকনো খাবারে ডায়রিয়ার তীব্রতা কমে- এ ধারণাটি ভুল। বরং ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানার রোগীকে ওরাল স্যালাইনের পাশাপাশি ভাত, ফিরনি, চালের গুঁড়ার জাউ, ছোট্ট শিশুকে বুকের দুধ, একটু বড় শিশুদের অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার খেতে দিলে খুব দ্রুত সেরে উঠবে।
কাজেই ডায়রিয়া হলে মুড়ি, চিঁড়া, বিস্কুট, ঘাটতি পূরণে খেতে হবে ওরাল ডিহাইড্রেশন সল্ট বা ওরস্যালাইন এবং শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টি ও শক্তির জোগান দেওয়ার জন্য খেতে হবে স্বাভাবিক খাবার। আর দায়ী রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধও খেতে হবে, এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।